ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অঙ্গীকার ছিল পাস করলে ২টি গরু জবাই করে ১০ মণ চাল দিয়ে রান্না করা হবে। সেই দাওয়াতে অংশগ্রহণ করবে এলাকার সব ভোটার এবং সবাই মিলে রান্না প্রস্তুত করবে।২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হয়েও তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি রেখেছেন
আব্দুল হামিদ। তিনি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য (মেম্বার) পদে ফুটবল প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন।এদিকে হেরে গিয়েও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নন্নি ইউনিয়নের তার নির্বাচনী এলাকায় আব্দুল
হামিদ নিজে মাইকে প্রচার করে বাড়িতে ভোটারদের আমন্ত্রণ জানান।কিন্তু ৬৪ ভোট পেয়ে হেরে যাওয়া আব্দুল হামিদ কথা রাখলেও দাওয়াত খেতে আসেননি কেউ। এদিকে এই খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যেম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভোটারদের মধ্যে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়।জানা
গেছে, ২৮ নভেম্বর ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে আব্দুল হামিদ ভোটাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হলে মাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ২টি গরু জবাই করে ও ১০ মণ আতপ চাল রান্না করে ভোটারদের খাওয়াবেন।কিন্তু নন্নি ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই নির্বাচনে ২৮
নভেম্বর ৭৩০ ভোট পেয়ে মোরগ প্রতীকে এমদাদুল হক ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। ৬৪ ভোট পেয়ে আব্দুল হামিদ ফুটবল প্রতীক নিয়ে তৃতীয় হয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন জালাল উদ্দিনের (তালা প্রতীক)।ভোটাররা প্রতিশ্রুতি না রাখলেও আব্দুল হামিদ তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি রেখে গত
মঙ্গলবার এলাকায় মাইকে ভোটাদের আমন্ত্রণ জানান। এ নিয়ে ভোটার ও এলাকাবাসী মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও হাসিঠাট্টার সৃষ্টি হয়।আব্দুল হামিদ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমি ভোটের আগে ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চেয়েছি। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি
দিয়েছিলাম। ভোটাররাও আমাকে ভোট দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন।কিন্তু ভোট পেয়েছি ৬৪টি। কথা ছিল ভোটের পরদিন গ্রামবাসী এসে সবাই মিলে ২টি গরু জবাই করবে। এছাড়াও খাওয়ার জন্য ১০ মণ চাল ও আনুসাঙ্গিক খরচের জন্য ১০ হাজার নগদ টাকা রেখেছিলাম। কেউ না আসলেও আমি কথা রেখেছি।