এবারের আইপিএলে মুস্তাফিজের দিল্লি প্লে-অফে পৌঁছানোর সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করার পর প্রথম রাউন্ডরে লিগ পর্ব থেকেই বিদায় নেন।আইপিএল শেষ না হতেই মুস্তাফিজরা পেলেন চরম দুঃসংবাদ।
এদিকে বড়সড় এক প্রতারণার শিকার হয়েছেন মুস্তাফিজদের অধিনায়ক ঋষভ পন্থ।দিল্লির এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যানের ১ কোটি ৬৩ লাখ রুপি বা ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে এক
প্রতারক।যদিও প্রতারক এখন হাজত বাসে রয়েছে তবে পন্থ পাননি হারানো টাকা মুস্তাফিজের দিল্লির এই অধিনায়ক ছোটোখাটো লাভের আশায় মৃনাঙ্ক সিং নামের হরিয়ানার এক ক্রিকেটারের কাছে খুব
কম মূল্যে অর্থাৎ বিশাল ছাড়ে নামীদামী ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট কেনার জন্য টাকা দিয়েছেন।এরই সাথে পান্টের দামি দামি কিছু লাক্সারি আইটেম ভালো দামে বিক্রির আশ্বাসও দেন। আর এতেই মন গলে যায়
মুস্তাফিজদের অধিনায়কের। তার নিজের কালেকশনে থাকা সোয়া ৩৬ লাখ রুপি মূল্যের ফ্র্যাঙ্ক মুলার ভ্যানগার্ড সিরিজের ঘড়ি এবং ৬২ লাখ ৬০ হাজার রুপি মূল্যের রিচার্ড মূল্যের ঘড়ি ঐ প্রতারককে দেন।
সেই সাথে একাধিক পণ্য কেনার অভিপ্রায়ে ২ কোটি রুপি দিয়েছিলেন পান্ট। বিশাল ছাড়ে দামি ব্র্যান্ডের জুয়েলারি, ঘড়ি, ব্যাগ, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ই-গ্যাজেট কেনার লোভ দেখানো সেই মৃনাঙ্ক
কিছু দিন পর উধাও।এদিকে মুস্তাফিজের দিল্লির অধিনায়ক গত বছর তার ম্যানেজার পুনিত সোলাঙ্কি মৃনাঙ্কের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬৩ লাখ রুপি জালিয়াতির অভিযোগে এনে মামলা দায়েরও করেন।
মূলত ক্ষতির অঙ্ক আরও বেশি হলেও ক্ষতিপূরণ হিসেবে ধার্য করা হয় ১ কোটি ৬৩ লাখ রুপি।তবে পন্থ এর সাথে করা প্রতারণাকারী মৃনাঙ্ক আসল টাকা দূরে থাক, ক্ষতিপূরণের সেই টাকাও এখনও পরিশোধ
করেননি। এমন পরিস্থিতিতে পান্ট আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। যদিও অন্য আরেক মামলায় অভিযুক্ত মৃনাঙ্ককে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত পেতে পান্টকে অনলাইনে
শুনানিতে অংশ নিতে হবে।যদিও এমন জালিয়াতির ঘটনাটি এক বছর আগে ঘটেছে।তবে সম্প্রতি ঘটনাটি সামনে আনেন পান্টের আইনজীবী একলব্য দ্বিবেদী। দ্বিবেদির দাবি, মৃনাঙ্ক ক্রিকেটার হওয়ায় খুব
অল্পতেই তার সাথে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক তৈরি হয় পান্টের। আর পান্টের সেই সরলতাকে কাজে লাগিয়েই বিরাট অঙ্কের টাকা নিয়ে প্রতারণা করেন মৃনাঙ্ক। অভিযুক্ত মৃনাঙ্ক নাকি ১ কোটি ৬৩ লাখ রুপির একটি
চেক দিয়েছিলেন পান্টকে। তবে সেই চেক বাউন্স করে অর্থাৎ ডিজঅনার হয়। এরপর নড়েচড়ে বসেন পান্ট, তার ম্যানেজার ও আইনজীবী। শেষপর্যন্ত হারানো টাকা পান্ট খুঁজে পান কি না তা-ই এখন দেখার বিষয়।