সারাদেশের সকল জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং পুলিশ সুপারকে (এসপি) কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেছেন, ‘জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগের সহায়ক অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে। নিরপেক্ষ থেকে আপনারা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।’
শনিবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশের ৬১ জেলার ডিসি ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে সভায় তিনি এমন নির্দেশনা দেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের
সাধারণ নির্বাচন বিষয়ে আপনাদের কঠোরভাবে দায়িত্ব-সচেতন হতে হবে। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচন বিষয়ে আপনাদের কর্ম ও আচরণে এমন কিছুর প্রতিফলন হবে না যাতে জনগণ ভাবতে পারে যে আপনারা কোনো একটি দলের পক্ষে কাজ করছেন।’
সংবিধান, আইন ও বিধি-বিধানের আলোকে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিয়ে তিনি ডিসি এসপিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। যে কোনো মূল্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ বজায়
রাখবেন। জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগে সহায়ক অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে। নিরপেক্ষ থেকে আপনারা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে
দায়িত্ব পালন করে প্রজাতন্ত্রের কর্মের কাঙ্খিত মান ও আদর্শকে সমুন্নত রাখবেন।’ গণতন্ত্রের প্রয়োগ, চর্চা ও বিকাশে স্ব স্ব অবস্থান থেকে অবদান রাখার নির্দেশনাও দেন তিনি।
দায়িত্ব পালনে ন্যূনতম শৈথিল্য প্রদর্শন করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতা প্রয়োগে কঠোর অবস্থানে থাকবে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে উপেক্ষা করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংসদীয় পদ্ধতির বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রশ্নে মতপার্থক্য বা মতের ভিন্নতা থাকতেই পারে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয়
সংসদ নির্বাচন নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ বিভাজন নিয়ে সংশয় থাকলেও আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ ও সার্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের সদিচ্ছা, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা যে কোনো সংকট ও সংশয় নিরসনে সামর্থ্য রাখে। মতৈক্য ও সমঝোতা হবে। সংকট ও সংশয় কেটে যাবে।’