টাকার জন্য থেমেছিল মেডিকেলে ভর্তি, পাশে দাঁড়ালেন ইউএনও!সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে মেডিকেলে ভর্তি থেমেছিল আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা অদম্য মেধাবী লিমন র’হমানের। অবশেষে তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে এলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মুনিম লিংকন। রোববার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে
লিমনের হাতে ৩০ হাজার টাকা সহায়তা তুলে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি পরবর্তীতে পড়াশোনার জন্য সবধরণের সহ’যোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও। সহযোগিতায় লিমনের চোখে-মুখে এখন আনন্দের বন্যা বইছে। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি লিমনের মা-বাবা। লিমন রহমান য’শোর সদর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প ‘মুজিব পল্লী’র বাসিন্দা। ভূমিহীন হওয়ায় যশোর জেলা প্রশাসনের
পক্ষ থেকে সম্প্রতি লিমনের পরিবারের বসবাসের জন্য দুই শ’তক জমিসহ একটি ঘর দেওয়া হয়েছে। সে ঘরেই মা-বাবাকে নিয়ে লিমনের বসবাস। তার বাবা সালাম রহমান কোনোরকমে নিজের নাম লিখতে পারেন। মা ফাতেমা বেগম পড়াশোনা
জানেন না। এরপরও লিমনের মা-বাবার স্বপ্ন, ছেলেকে চিকিৎসক বানানোর। পরীক্ষায় ১৩৫৩তম হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান লিমন। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর এমনই এক দরিদ্র সংসারে তার মেডিকেলে
ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। বিষয়টি নজরে ইউএনও এম মুনিম লিংকনের নজরে আসে। লিমন রহমান বলেন, ‘আমার বাবা রাইস মিলের কর্মচারী। মা ফাতেমা বেগম মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে পড়াশোনা
করেছি। আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও যশোর এম এম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করি। উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছি। চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দেই। রাজশাহী মেডেকেলে ভর্তি হওয়ার
সুযোগও পাই। কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারছিলাম না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আমার স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পথে। তাই আমার খুশি লাগছে। এ বিষয়ে ইউএনও এস এম মুনিম লিংকন জাগো নিউজকে বলেন, মেধাবী লিমনের ভর্তির অনিশ্চয়তার
খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ভর্তির সহযোগিতা করা হয়েছে। ছেলেটি আশ্রয়ণ প্রকল্প ‘মুজিব পল্লী’র সদস্য। এই জন্য তার পাশে দাঁড়াতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। ভবিষ্যতেও তার পড়াশোনার জন্য সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।