বিজয়ের বাংলা:
টাকার অভাবে, গোয়াল ঘরে পড়াশোনা করেই এখন বিচারকের আসনে সেই গরিব দুধ বিক্রেতার মেয়ে।নজির গড়লেন রাজস্থানের মে’য়ে। পেশায় দুগ্ধ বিক্রেতা মেয়ে সোনাল শর্মা সমস্ত বাধা পার
করে পাস ক’রেছেন রাজস্থান জুডিশিয়াল সার্ভিস, ২০১৮।প্র’তিদিন সকালে বাড়ি বাড়ি দুধ পৌঁছে দেন সোনালের বাবা। সেই আয়েই চলে সং’সার। দিন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা। সংসারের হাল ধরতে
বা’বার কাজে হাত লাগান সোনালও। সেই সাথে পাশাপাশি চলে পড়াশোনাও।সোনালের এই পথ চলা সহজ ছিল না। বাবা খেয়ালি লাল শর্মা এই রোঃজগারেই বড় করে তুলেছেন ০৪ সন্তানকে। সোনালের স্বপ্ন ছিল বিচারপতি হওয়ার। পড়াশোনায়
কৃতি সোনাল একে একে পাস করেন BA,
LLB, LLM। পেয়েছেন স্বর্ণপদকও। তারপর ২০১৮ সালে রা’জস্থান জুডিশিয়াল সার্ভিস এক্সাম দেন তিনি। রেজাল্ট বেরোলে
দেখা যায় ১ নং এর জন্য কাট অফ ক্লি’য়ার হয়নি। ওয়েটিং লিস্টে স্থান পান তিনি। এরপর সাত জন চাকরিতে যোগ না
দেওয়ায় এরপর সুযোগ পান তিনি।
সো’নালের তরফে রিট পিটিশন দায়ের করা হলে তার প’ক্ষেই রায় যায়। এবং তিনি বিচারক হিসেবে নিয়োগপত্র পান তিনি।
তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার ক’রতে গিয়ে সোনাল জা’নিয়েছেন, “মা বাবা
আমা’র জন্য অনেক কিছু ক’রেছেন। ঋণ নিয়েছেন। ওঁ’দের জন্য কিছু ক’রতে চাই আমি।আগে বন্ধুদের বাবার পেশা বলতা লজ্জা পেতাম। এখন গর্ব বোধ করি।” তিনি জা’নালেন, সাইকেল নিয়ে কলেজ যেতেন
তিনি। বই’য়ের প্রয়োজন হলে লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে পড়তেন। অ’র্থাভাবে টিউশনও পড়তে পারেন নি। তাঁর লড়াইকে সম্মান জানিয়েছেন নেট দুনিয়া। কিছুদিন
আগেও যিনি এক গরীব দুগ্ধ বিক্রেতার কন্যা রূপে প’রিচিত ছিলেন, সেই সোনাল শর্মা এখন ফার্স্ট ক্লাস ম্যা’জিস্ট্রেট।