বিজয়ের বাংলা: জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় ঘরের কাছে এসে অভিভাবকরা যা দেখেন তাতে একেবারে চোখ কপালে ওঠার অবস্থা। জঙ্গলঘেরা জলপাইগুড়ি। বর্ষাকালে মাঝেমধ্যেই সাপখোপের উৎপাতের কথা শোনা যায়।
চা বাগান, জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার পাশাপাশি জলপাইগুড়ি শহরের করলা নদীর ধার বরাবর এলাকাতেও একাধিকবার বাড়িতে সাপ ঢুকে যাওয়ার নজির রয়েছে। কিন্তু একেবারে ১৩ ফুট লম্বা সোজা একেবারে ঘরের মধ্যে সেঁধিয়ে যাবে এটা ভাবতে পারেননি কেউই।
জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটার খাসবস্তির ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ির সামনে বাচ্চারা খেলা করছিল। আচমকাই চিৎকার শুরু করে তারা। তাদের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন অভিভাবকরা। এরপরই ঘরের কাছে এসে অভিভাবকরা যা দেখেন তাতে একেবারে চোখ কপালে ওঠার অবস্থা। বিশাল একটি শঙ্খচূড় সাপ ততক্ষণে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়েছে।
এরপর স্থানীয়রা সর্প বিশারদ সৈয়দ নইম বাবুনকে খবর পাঠান। শেষ পর্যন্ত তার প্রচেষ্টায় সাপটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। প্রায় ১৩ ফুট লম্বা সাপটি। এদিকে খুনিয়া রেঞ্জের বনাধিকারিক রাজকুমার লায়েক বলেন, নাগরাকাটার খাসবস্তি এলাকায় সাপটিকে দেখা গিয়েছিল।
পরে সেটিকে একজন সর্পবিশারদ উদ্ধার করে।বনদফতরের সহযোগিতায় সেটিকে ফের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সর্পবিশারদ বাবুন জানিয়েছেন, মনে হচ্ছে জলঢাকা নদী সংলগ্ন জঙ্গল থেকে সাপটি লোকালয়ে চলে এসেছিল। উদ্ধারের পর সেটিকে ফের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।