1. atikurrahman0.ar@gmail.com : বিজয়ের বাংলা : বিজয়ের বাংলা
  2. Mijankhan298@gmail.com : Bijoyerbangla News : Bijoyerbangla News
  3. rabbimollik2002@gmail.com : Bijoyerbangla News : Bijoyerbangla News
  4. msthoney406@gmail.com : বিজয়ের বাংলা : বিজয়ের বাংলা
  5. abur9060@gmail.com : বিজয়ের বাংলা : বিজয়ের বাংলা
গাছের পাতা বিক্রি করে বছরে আয় ১২ লাখ টাকা - ২৪ ঘন্টাই খবর

গাছের পাতা বিক্রি করে বছরে আয় ১২ লাখ টাকা

  • আপডেট করা হয়েছে: মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১
  • ৮০১ বার পঠিত

বিজয়ের বাংলা: কৃষক জয়নুদ্দিন জানান, ২০০৮ সালে তিনি এক বিঘা জমিতে ১০০ গাছ লাগানোর মাধ্যমে এই চাষ শুরু করেছিলেন। বর্তমানে তার চার বিঘায় ৪০০ গাছ রয়েছে। এ ছাড়া তার এই চাষ দেখে তারই গ্রামের আরো দুই কৃষক বাণিজ্যিকভাবে তেজপাতার চাষ শুরু করেছেন। সরেজমিনে কালীগঞ্জ উপজে’লার সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ইউনিয়নের কাদিরকোল গ্রামে গিয়ে কথা হয় কৃষক জয়নুদ্দিনের সাথে। তিনি জানান, ২০০৭ সালে তিনি পাশের রাষ্ট্রের ভা’রতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।

সেখানে এই তেজপাতার চাষ দেখেন। এই চাষ দেখে তার খুব আগ্রহ হয় তেজপাতা চাষের প্রতি। কিন্তু কোথাও চারা পাচ্ছিলেন না। এমন সময় তার এক বন্ধু খবর দেন এই চারা খুলনার বেজেরডাঙ্গা নামক এলাকায় পাওয়া যায়। সেভাবে ২০০৮ সালে বেজেরডাঙ্গা এলাকা থেকে চারা নিয়ে আসেন। জয়নুদ্দিন খাঁ জানান, ওই বছরে ২০০ টাকা দরে ১০০ চারা ক্রয় করেন। এগুলো বাড়ির পাশে অ’পেক্ষাকৃত জঙ্গল আকৃতির জমিতে রোপণ করেন। এরপর পরিচর্যা করতে থাকেন। এভাবে চার বছর পেরিয়ে গেলে গাছের ডালে ডালে পাতায় ভরে যায়।

তখনই পাতা ভাঙতে শুরু করেন। সেই থেকে তিনি প্রতি বছর দুইবার গাছ থেকে পাতা ভেঙে বিক্রি করেন। পাশাপাশি এটি লাভজনক হওয়ায় আরো গাছ লাগিয়েছেন। বর্তমানে তার চার বিঘা জমিতে ৪০০ তেজপাতা গাছ রয়েছে। ৪৬ শতাংশে বিঘা হিসেবে প্রতি বিঘায় চারা রোপণ করা যায় ১০০টি। এই চাষ অ’পেক্ষাকৃত জঙ্গল পেরিয়ে ভালো চাষযোগ্য জমিতেও ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। প্রতি বছর এই চাষ বৃদ্ধি করছেন বলে জানান।

কৃষক জয়নুদ্দিন খাঁ জানান, তেজপাতা চাষ করতে হলে জমিতে ভালো’ভাবে চাষ দিয়ে নিতে হয়। এরপর সেখানে জৈব সার ছিটিয়ে দিতে হয়। তারপর সামান্য রাসায়নিক সার দিয়ে চারা লাগাতে হয়। এই গাছ ছাগল-গরুতে খায় না। পাতা গাছের ডালে ডালে থাকায় চু’রি হওয়ার আশ’ঙ্কাও কম থাকে। তিনি আরো জানান, একটি চারা রোপণের চার বছর পর থেকে পাতা পাওয়া যায়। ৫০ বছর পর্যন্ত পাতা পাওয়া যাবে। বর্তমানে তার প্রতিটি গাছে বছরে ২০ কেজি করে পাতা হয়, যা বাজারে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা যায়।

এতে তার ৪০০ গাছে প্রায় ১২ লাখ টাকার পাতা বিক্রি হয়। এই পাতা পেতে বর্তমানে তার খরচ হয় গাছপ্রতি ১০০ টাকা। তিনি বলেন, এই চাষে পরিশ্রম কম, আর একবার রোপণ করলে জীবনের বেশির ভাগ সময় ফলন পাওয়া যায়। তাই তিনি বাণিজ্যিকভাবে এই চাষ করছেন। তিনি জানান, প্রথম বছর তিন মণ পাতা বিক্রি করতে পারলেও বর্তমানে ১২ মণ পর্যন্ত পাতা বিক্রি করছেন। আগামী মৌসুমে ২০ মণ পাতা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করেন।

জয়নুদ্দিন খাঁ পেশায় কৃষক। মাঠে তার ১৮ বিঘা চাষযোগ্য জমি আছে। তিনি জানান, তেজপাতার কোনো ফল হয় না। আবার কলম করেও চারা তৈরি করা যায় না। এর জন্য কাবাব চিনির গাছ প্রয়োজন। কাবাব চিনির ফল থেকে চারা তৈরি হয়। সেই চারায় কলম করে তৈরি হয় তেজপাতা গাছ। এভাবে চারা তৈরি করে তেজপাতার চাষ করতে হয়।

কাদিরকোল গ্রামের আবুল কালাম জানান, জয়নুদ্দিনকে দেখে তিনিও এই তেজপাতা চাষ শুরু করেছেন। প্রথম বছর ৩৫ শতক জমিতে চাষ করেছেন। ভালো পাতাও পাচ্ছেন। আগামীতে আরো বেশি চাষ করার ইচ্ছা রয়েছে বলে জানান কৃষক আবুল কালাম। আরেক কৃষক মিজানুর রহমানও বাড়ির আঙ্গিনায় ১০ শতক জমিতে এই তেজপাতা চাষ করেছেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃপাংশু কুমা’র জানান, এটা খুবই লাভজনক ফসল। এই চাষ এ অঞ্চলের মানুষ বাণিজ্যিকভাবে করেন না, কাদিরকোল গ্রামের কৃষক জয়নুদ্দিন খাঁ করছেন। তারা এটা জেনে তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করে থাকেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর পড়ুন
© All rights reserved 2022
Site Developed By Bijoyerbangla.com