1. atikurrahman0.ar@gmail.com : বিজয়ের বাংলা : বিজয়ের বাংলা
  2. Mijankhan298@gmail.com : Bijoyerbangla News : Bijoyerbangla News
  3. rabbimollik2002@gmail.com : Bijoyerbangla News : Bijoyerbangla News
  4. msthoney406@gmail.com : বিজয়ের বাংলা : বিজয়ের বাংলা
  5. abur9060@gmail.com : বিজয়ের বাংলা : বিজয়ের বাংলা
'খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস, এর কোনো দেশে চিকিৎসা নেই' - ২৪ ঘন্টাই খবর

‘খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস, এর কোনো দেশে চিকিৎসা নেই’

  • আপডেট করা হয়েছে: সোমবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২১
  • ৮১৮ বার পঠিত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসের কারণে ব্লিডিং হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি নেত্রীকে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানির বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সুপারিশ

করেছেন তারা। বিএনপি নেত্রীর যকৃত বা লিভারে রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে উল্লেখ করে চিকিৎসকরা জানান, একবার এই রক্তক্ষরণ সামাল দেওয়া গেছে। তবে এখন তার যে অবস্থা, সেটি দ্বিতীয়বার সামাল দেওয়া কঠিন হবে।বাংলাদেশে দুই থেকে তিন বার রক্তক্ষরণ সামাল দেওয়ার কারিগরি

সুযোগ নেই দাবি করে চিকিৎসকরা তাকে যত দ্রুত সম্ভব দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। রবিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান ডা. এফ এম সিদ্দিকী।বিফ্রিংয়ে দেওয়া

প্রফেসর ডা. এফ এম সিদ্দিকী’র বক্তব্য তুলে ধরা হলো-ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। কিন্তু আমরা যারা প্রধান চিকিৎসক আছি, এ বিষয়টি সম্পর্কে ভালো জানি।জটিল পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে।

তার এ পর্যন্ত ৩ বার মারাত্মক ব্লিডিং হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রিব্লিডিং হয়নি। আবার যদি রিব্লিডিং হয়, তবে তা নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা এখানে নেই। সেক্ষেত্রে তার ব্লিডিং হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে।বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ দক্ষ চিকিৎসকদের সহায়তায় সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে

খালেদা জিয়াকে তারা বর্তমানে ‘স্থিতিশীল’ (স্ট্যাবল) রাখতে পেরেছেন। তবে তার চূড়ান্ত চিকিৎসার জন্য যেটি করা প্রয়োজন, সে প্রসঙ্গে তারা অনেকটাই ‘অসহায়’ (হেল্পলেস) বোধ করছেন।১২ নভেম্বর দ্বিতীয়বারের মতো হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাসায় চলে গিয়েছিলেন। কয়েকদিন ভালোও ছিলেন। এর মধ্যে হঠাৎ করে আমরা ইনফরমেশন পেলাম— তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন, কয়েক কদম হাঁটতে গিয়েই হাঁপিয়ে

পড়ছিলেন। তখন আমি ডা. এ জেড জাহিদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম, তিনি অত্যন্ত ফ্যাকাসে ও দুর্বল হয়ে পড়েছেন। শুক্রবার রাতেই ২টার সময় বাসা থেকে তার রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। সকালে রিপোর্টে আমরা দেখলাম, তার হিমোগ্লোবিন ড্রপ করেছে। তাৎক্ষণিকভাবেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তার জীবন বাঁচানোর জন্য আমরা নানা ধরনের ফ্লুইড দিয়েছি। তার লিভারের সমস্যা মাথায় ছিল। এ ধরনের রোগীদের হেমোরেজ (রক্তক্ষরণ) হলে যেকোনো সময় মৃত্যুঝুঁকি থাকে। সে কারণে আমরা দ্রুত তার জন্য কিছু লাইফ লাইন চালু করি। তাকে দুই ব্যাগ পিআরবিসি (প্যাকড রেড ব্লাড সেল, কনসেন্ট্রেটেড আরবিসি) দেই। এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে তার রক্তক্ষরণের উৎস বের করার উদ্যোগ নেই। ডিপ সিডেশন

(সম্পূর্ণভাবে অচেতন) না করে এই এন্ডোস্কোপি করা সম্ভব না। সে কারণে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়। পরে রাত ২টার দিকে তার ব্লাড প্রেশার ও পালস কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসতে থাকলে ডা. আরেফিন তার এন্ডোস্কোপি করেন।এরপর বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসায় খালেদা জিয়ার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে, আবার অবনতি হয়েছে। তার রক্তক্ষরণ বন্ধ হওয়ার পর আবার শুরু হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তারা জানতে

পেরেছেন, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তবে একাধিকবার এন্ডোস্কোপি করেও তার রক্তক্ষরণের উৎস তারা জানতে পারেননি। তবে খালেদা জিয়ার কোলনের পুরোটাতেই রক্ত জমাট বেঁধেছিল। সেটি তারা পরিষ্কার করেছেন। তবে যথাযথ চিকিৎসা না হলে খালেদা জিয়াকে

বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।আমরা আমাদের সাধ্যমতো দেশের সবচেয়ে সেরা চিকিৎসকদের দিয়ে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা করে যাচ্ছি। কিন্তু তার যে চিকিৎসাটি প্রয়োজন, সেটি দেশে সম্ভব নয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, উপমহাদেশ তো বটেই, সিঙ্গাপুর-ব্যাংককেও এ ধরনের চিকিৎসা নেই। এটি বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি অ্যাডভান্সড সেন্টারেই অত্যন্ত দক্ষ কয়েকজন চিকিৎসক করে থাকেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর পড়ুন
© All rights reserved 2022
Site Developed By Bijoyerbangla.com