বিজয়ের বাংলা:
ওজন নিয়ন্ত্রণের মূল মন্ত্র হলো খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা। ওজন নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ ডা’য়েট মেনে চলা খুব জরুরি। যদি ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েট আমরা মেনে না চলি, তা’হলে পুষ্টির ঘাটতি হয়।অনেকে
ভাবেন, ওজন কমানো মানে না খেয়ে থাকা। আ’মাদের ওজন কমাতে হবে খেয়ে, না খেয়ে নয়। আমরা সারা দিনে যে খাদ্যতালিকা তৈরি করব, সেখানে অবশ্যই পরিমাণমতো কা’র্বোহাইড্রেট থাকতে হবে, ফল থাকতে হবে, সবজি থাকতে হবে।
ওজন কমানোর জন্য প্রথমেই চিন্তা করতে হয়, কোন খাবার কতটুকু পরিমাণে খেতে হবে। এই ক্ষেত্রে ওজন এবং উচ্চতা অনুযায়ী একটি ক্যালরি মেনে খাদ্যতালিকা তৈরি করতে হবে। এই খাদ্যতালিকায় প্রোটিন,
ফল, সবজি, মিনারেল ইত্যাদি থাকবে।
সকালের খাবারে অবশ্যই ক্যালরির একটি বড় অংশ থাকতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে প’রোটা বা ভাতের পরিবর্তে লাল আটার রুটি খেতে হবে। ওমলেট বা পোচের পরিবর্তে সিদ্ধ ডিম খেতে হবে।
সকালে আমরা হয়তো একটি মুরগির স্যুপ বা দই রাখতে পা’রি।দুপুর এবং রাতে খাবারে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন তেল ছাড়া হয়।কারণ, আমরা এক চা চামচ তেল থেকে প্রায় ৪৫ কিলোক্যালরি থাকে। তাই আমাদের ওজন কমানোর জন্য তেলের
পরিমাণটা বাদ দিতে হবে। আর বিকেলের নাশতায় চর্বিযুক্ত কোনো খাবার না খেয়ে ছোলা, ফলের সালাদ, ফ’লের জুস খাওয়া যেতে পারে।সকালের তুলনায় আমাদের
অবশ্যই রাতে কম খেতে হবে। কারণ, সকালের নাশতা খাওয়ার পর আমাদের সারা দিন প্রচুর কাজ করতে হয়। এতে আমরা ক্যালরি ঝ’রিয়ে থাকি। রাতে খাবারের পর শারীরিক কোনো কাজ
আমরা করি না ও ক্যালরি ঝরানোর পর কোনো বিষয় থাকে না।তাই সকালের তুলনায় বা অন্যান্য বেলার তুলনায় আমাদের অ’বশ্যই রাতের বেলা পরিমাণে কম খেতে হবে।