আন্তর্জাতিক নিউজ:
এবার মাদ্রাসা নির্মাণে নিজের জমি দিলেন এক হিন্দু নারী।মাদ্রাসা নির্মাণে জমি দিলেন হিন্দু নারীমাদ্রাসা নির্মাণের জন্যে জমি প্রয়োজন। চেষ্টা ক’রেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এগিয়ে এলেন এক হিন্দু নারী। এমন
সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির এই ঘটনা ঘটেছে নেপালে। দেশটির গণমাধ্যম খবর হাব ডটকম-এ প্রকাশিত খবরে জানা যায়, বিষ্ণুমায়া প্র’সাইন নামে নেপালের হিন্দু ধর্মীয় এক নারী সমাজকর্মী মুসলিম শিশুদের
পড়াশোনার সুবিধার্থে মাদ্রাসা নির্মাণে জমি দান করেছেন। হি’ন্দু নারী সমাজকর্মীর মাদ্রাসার জন্য জমি দান করায় স্থানীয় মুসলিমসহ সব মানুষই তাকে স্বাগত জানিয়েছে।খবর হাব ডটকম জানায়,
মুসলিম শিশুরা যেন তাদের পড়াশোনা করতে পারে সে জন্য নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় জাপা অঞ্চলে বসবাসকারী বিষ্ণুমায়া মাদ্রাসা নির্মাণে এই জমি দান করেন। নেপালি মুদ্রায় ১৫ লাখ রুপি মূল্যের একখ- জমি দান
করেন তিনি।মাদ্রাসা প্রধান আফারুক খান জানান, ‘মাদ্রাসা নির্মাণের জন্য ৮ কাঠা জমির প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় বাকী জমি অল্প মূল্যে ক্রয় করে দ্রুত মাদ্রাসা নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।’বর্তমানে স্থানীয়
মসজিদে মাদরাসাটির ৪টি ক্লাস পরিচালিত হচ্ছে। এই মাদ্রাসাটি দ্বাদশ ক্লাস পর্যন্ত পরিচালনা করতে দ্বীনি দাতাদের কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে বলে জানান আফারুক খান।বিষ্ণুমায়া প্রসাইনের এ অনুদান নেপালের হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে মধুর সম্প্রীতির বন্ধনের
পরিচয়ই ফুটে ওঠেছে। রোববার মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জমিদাত্রী হিন্দু সমাজকর্মীকে এ দানের জন্য অ’নুষ্ঠান করে তাকে সম্মান জানিয়েছেন।এই এলাকায় প্রায় ১৫০টি মুসলিম পরিবারের বসবাস করে। জেলার
মেয়র বোজরাজ সিতাওয়ালা বলেছেন, এই অঞ্চলে মুসলমানদের কোনও মাদ্রাসা নেই। আর এজন্য এই এলাকায় বসবাসরত মুসলিম শিঃশুদের শিক্ষার জন্য এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিক বিজয়া বড়াল বলেছেন, মাদ্রাসাটি নির্মাণের ক্ষেত্রে হিন্দুদের
অবদানের মাধ্যমে নেপালের হিন্দু এবং মুসলমানদের মধ্যে সামাজিক সহাবস্থান এবং ধর্মীয় সহনশীলতার পরিচয় ফুটে উঠেছে।
মাদ্রাসা বোর্ডের প্রধান একটি অনুষ্ঠানে এই মাদ্রাসা নির্মাণের জন্য যেসব দাতারা
ইতিমধ্যে অনুদান দিয়েছেন তাদের সবার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, হিন্দু সমা’জসেবক বিষ্ণুমায়া প্রসাইন মাদ্রাসা নির্মাণের জন্য জমি দান করেছেন এবং এর মাধ্যমে মুসলিম শিশুরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে না।