নব্বইয়ের দশকে ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ঝড় তুলেছিলেন নাঈম-শাবনাজ। এই জুটিকে দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করেছিল। পর্দার গণ্ডি পেরিয়ে বাস্তব জীবনেও ভালোবেসে ঘর বাঁধেন তারা। সাফল্যের চূড়ায় থাকতেই এই জুটি একসঙ্গে চলচ্চিত্রাঙ্গন
থেকে দূরে সরে যান।মূলত কাজের সূত্র ধরেই তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেম থেকেই বিয়ে। তাদের ঘরে রয়েছে দুই কন্যা সন্তান। দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে একই ছাদের নিচে বাস করছেন এই তারকা দম্পতি। এখনও তাদের ভালোবাসা মুগ্ধ করে
সবাইকে।বর্তমানে চলচ্চিত্র ছেড়ে দূরে আছেন এই দম্পতি। নাঈম মনোযোগী তার ব্যবসা নিয়ে। টাঙ্গাইলে দেলদুয়ার থানার পাথরাইলে লোক লস্কর নিয়ে কৃষিকাজে মনোনিবেশ করছেন করটিয়া জমিদার বাড়ির সন্তান। অন্যদিকে তার সহধমির্ণী
শাবনাজ সংসারে ব্যস্ত সময় পার করছেন।গ্রামে শিশুদের বানানো পাতার ঘর দেখে মুগ্ধ হয়েছেন নাঈম-শাবনাজ। সেই ঘরে শাবনাজের কোলে মাথা রেখে ঘাসের ওপর শুয়ে আছেন নাঈম। এটি তাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। হঠাৎ দেখে মনে হবে
সিনেমার কোনো দৃশ্য। এমনি একটি ছবিই আপলোড করেছেন তারা।ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘গ্রামের বাচ্চারা গাছের পাতা দিয়ে খেলার জন্য কি সুন্দর ঘর বানিয়েছে, সে ঘরে আমরা দুইজন।’১৯৯১ সালের ২ অক্টোবর নাঈম-শাবনাজ অভিনীত প্রথম ছবি
‘চাঁদনী’ মুক্তি পেয়েছিল। সেই ছবিটি সুপারহিট হওয়ায় পরবর্তীতে প্রায় ২০টির মতো ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন তারা। ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর বিয়ে করেছিলেন এই তারকা দম্পতি। এই দম্পতির বড় মেয়ে নামিরা দেশের বাইরে পড়াশোনা
করছেন। ছোট মেয়ে মাহদিয়া নাঈম মুরাদ একজন সংগীতশিল্পী। গানের সুবাধে ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। নৌকায় বসে বাবার সঙ্গে গান গেয়ে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন মাহদিয়া।প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে অসুস্থ ছিলেন নাঈম। গত ৬ নভেম্বর রাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার বাইপাস সার্জারি হয়েছে। এখন পুরোপুরি সুস্থ আছেন এ নায়ক।