স্বদেশ বাংলা:
এবার খেলাফতের বাংলাদেশ গড়ার ডাক দিলেন ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী হুজুর।
বাংলাদেশকে খেলা’ফতে দেশ গড়ার ডাক ঘোষণা দিয়েছেন জৈনপুরী দরবারের পীর ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী। তিনি বলেন, ‘আগামীর বাং’লাদেশ আল কোরআনের বাংলাদেশ, আগামীর বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ, আগামীর বাংলাদেশ
হবে খেলাফতের বাংলাদেশ। গত (১৮ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের কমলগঞ্জে এক মাহফিলে তিনি এই সব কথা বলেন৷বাং’লাদেশে সকল মুসলমান ঐক্যবদ্ধ থাকার উল্লেখ করে এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, মাসশালা যার যার, দ্বীনি ইসলাম সবার। আমার মা’সশালা আমার কাছে, তোমার মাসশালা তোমার কাছে। ইসলামের
সুমহান মর্যাদা রক্ষার, মুসলমানদের অধিকার রক্ষায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌম রক্ষায় সকল মাসশালার মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হয়ে শপথ নেওয়ার সময় এসেছেন৷তাহরীকে খাতমে নবুওয়্যাতের আমির আল্লামা ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেছেন, দ্বীন হল ইসলাম, দ্বীনের
দাওয়াতে আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে যুগে যুগে নবী এবং রসূলগণ পৃথিবীতে এসেছেন। সবার পরে এসেছেন আখেরী নাবী এবং নাবীকূল সম্রাট মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।মত প্রকাশের স্বাধীনতা দোহায় দিয়ে হয়রত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সান মান নিয়ে বিয়াদবি চলবে না বাংলাদেশে
হুশিয়ারি করে তিনি বলেন, মতপ্রকাশের বাউন্ডারি থাকতে হবে বলে, রাসূল সল্লাল্লাহু এবং আল্লাহ’র মান মর্যাদা বিরুদ্ধে কারো যদি একটু উচ্চার হয় তাকে মুসলমান বলার সুযোগ থাকে না তা’রা হয়ে যায় নাস্তিক মুরতাদ। ইসলামি শরীয়ত আইনে তাদের
কে মৃত্যুদন্ড ফরজ৷ মত প্রকাশের দোয়ায় দিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহিতা হয়ে যদি মৃ’ত্যুদন্ড হয়। নবীজির সানে যারা আম্মাজান কে নিয়ে যারা বেয়াদবি করছেন তার আগে তাদের মৃত্যুদন্ড দিতে হবে৷এই দেশে যত বেশি মাদ্রাসা, মসজিদ, মাহফিল হবে ততো বরকতময় বাংলাদেশের হবে বলে মন্তব্য করেন এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, ‘ আল্লাহর
কোরআনে মাহফিল বেশি হয় বলে করোনার গুজব থেকে এদেশ বেঁ’চেছেন। ওয়াজ মাহফিল হচ্ছে বলে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় একমাত্র আল্লাহর বরকতময় কারণে আমরা রক্ষা পেয়েছি। সেজন্য তিনি জোরগলায় বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ মহফিলে অনুমতি
দিয়ে দাও, মাদ্রাসা গুলো খুলে দেওয়া
হোক, সিনেমা হল গুলো বন্ধ করা হোক। মদের দোকান বন্ধ করে দাও, রহমত এবং বরকতে বাংলাদেশ আসতে থাকবেন।আল্লামা ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর বায়ানে বলেন, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহকে তাফসির, সিরাত এবং তার লিখিত কিতাব
হাদিয়া দিয়েছিলাম। তিনি তওবা পড়ে নূরানী কায়েদার সবক নিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমি আমার সঞ্চালক বলেছি, হিন্দু বৌ’দ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের সাথে বসবো।উল্লেখ্য, আগে ফেস দ্যা পিপল নামের একটি ফেসবুক পেজে হওয়া এক টকশোতে অংশ নিয়েছিলেন জৈনপুরের পীর মাওলানা ড.এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী। খেলাফত সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, খিলাফত মানে হচ্ছে আল্লাহর আইন
অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করা। আরব বিশ্বের অনেক দেশে যদিও রাজতন্ত্র কিন্তু এখনো খেলাফাত রয়েছে। যেমন চু’রির শাস্তি হাত কাটা। ব্যভিচারের শাস্তি ছঙ্গেছার। আগে খিলাফাত কাকে বলে তা বুঝতে হবে।