ঈদযাত্রার ট্রেনের অগ্রিম টিকিটপ্রত্যাশীরা নির্ধারিত সময়ের আগেভাগেই স্টেশনে গিয়ে যে ভোগান্তিতে পড়ছেন তা নিয়ে কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকিট বিক্রির তৃতীয়দিনে
সোমবার দুপুরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকালের টিকিটের জন্য লোকজন আজকে থেকেই যদি লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে আমাদের কী করার থাকতে পারে?’ টিকিট পেতে কারো কোনো অভিযোগ নেই জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘সিস্টেম
করেছি, টিকিট জালিয়াতির কোনো সুযোগ নেই। আপনি আইডেনটিটি কার্ড দিয়ে টিকিট কাটবেন, আপনার টিকিট দিয়ে আমি যেতে পারব না।’ অনলাইনে টিকিট ব্যবস্থাপনায় সহজ, সিনেসিস এবং ভিনসেন জয়েন্ট ভেঞ্চার দায়িত্ব নেওয়ার পর
টিকেট পেতে ভোগান্তির যে অভিযোগ আসছে সেই বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সুজন বলেন, ‘এনআইডি কার্ড দিয়েই সহজ টিকিট বিক্রি করেছে। তারা অর্ধেক টিকিট অনলাইনে বিক্রি করছে, আর আমরা অর্ধেক কাউন্টারের মাধ্যমে বিক্রি করছি।’ এসময় মন্ত্রী জানান, দেশে যাত্রীর তুলনায়
ট্রেনের সংখ্যা কম। রেলের সক্ষমতা অনুযায়ী টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। টিকিটপ্রত্যাশী ৫ লাখ হলে সেখানে রেলওয়ে দিতে পারে মাত্র ২০ হাজার। এর আগে রেলমন্ত্রী কমলাপুর স্টেশনের টিকিট কাউন্টারগুলো পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি
সেখানে টিকিট কাটতে লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন। যাত্রীরা মন্ত্রীকে তখন নানা ভোগান্তির পাশাপাশি টিকেট না পাওয়ার অভিযোগ করেন। এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে ১৮টি কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এর
মধ্যে ২টি কাউন্টার প্রতিবন্দী এবং নারীদের জন্য। নারীরা অভিযোগ করছেন, তাদের জন্য মাত্র দুটি কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।