মুশফিকের অপরাজিত ১৭৫ রান ক্রিকেটপ্রেমীদের মন ভরালেও, আফসোস রয়ে গেছে তার বাবা মাহবুব হাবিব তারার। মুশির নিজের জন্য না হলেও, দলের জন্য আরও কিছু রান প্রয়োজন ছিল বলে
মনে করেন তিনি। এদিকে, মুশফিকের রিভার্স সুইপ নিয়ে অতিরিক্ত সমালোচনাকে ‘অহেতুক’ আলোচনা মনে হয় তার কাছে। বাবার ইচ্ছা, ছেলে যেন সেরা ছন্দে থেকেই অবসর নেয় ক্রিকেট থেকে।
২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দলের সবচেয়ে বড় সমর্থকটাও বিশ্বাস করেননি এরকম কিছু হতে পারে। কারণ, মিরাকলেরও যে একটা সীমা আছে।কিন্তু, লিটন দাস আর মুশফিকুর রহিম সে
সীমাকেও অতিক্রম করে গেছেন। চরম অবিশ্বাসীকেও বিশ্বাস করতে শিখিয়েছেন, ঢাকা টেস্টে এখনো জিততে পারে বাংলাদেশ।মুশির অপরাজিত ১৭৫, মন ভরিয়েছে মিরপুরে উপস্থিত হাজারো
সমর্থকের। টুপি খোলা অভিবাদন জানিয়েছেন ড্রেসিং রুমে থাকা তার সতীর্থরাও। কিন্তু, একজন যে খুশি হতে পারেননি পুরোপুরি। তিনি মাহবুব হাবিব, মুশফিকুর রহিমের বাবা; সবার প্রিয় তারা চাচা।
তার কাছে, ছেলের জন্য না হলেও দলের জন্য যে আরও কয়টা রান ছিল খুব প্রয়োজন। মুশফিকের বাবা বলেন, আফসোস তো আছেই, বড় একটা মাইলফলক স্পর্শের সুযোগ ছিল। কিন্তু যা
হয়েছে এটাও অনেক। ওর (মুশফিক) সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউ থাকলে আরও বড় হতো স্কোরটা। রান, সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরি যে পরিসংখ্যান নিয়েই হিসেব করা হোক না কেন, বাংলাদেশের
সেরাদের সেরা মুশফিকুর রহিম। অথচ তাকে নিয়েই কি না এতো এতো আলোচনা, সমালোচনা। মুশি পাত্তা না দিলেও, বিষয়টা পরিবারের সদস্যদের কাছে রীতিমতো কষ্টের। যদিও বিষয়টিকে অহেতুক
বলেই মনে করেন মাহবুব হাবিব। বলেন, বাঙালী বলেই আমাদের সমালোচনার মাত্রাটা বেশি। যেটি অন্য কোনো দেশে হলে হতো না মনে হয়। সমালোচনা হলে তার (মুশফিক) কাছে কেমন
লাগে জানি না, তবে আমাদের এটা কষ্ট দেয়। পৃথিবীর অমোঘ নিয়ম, শুরু হলে তার শেষও হবে। মুশফিককেও তাই থামতে হবে কোথাও না কোথাও। কিন্তু বাবার ইচ্ছা, ছেলে যেন মানুষের সমালোচনায়
অবসর না নেন কোনো ফরম্যাট থেকে। মাহবুব হাবিব বলেন, টি-টোয়েন্টি নিয়ে যে গুঞ্জন হচ্ছে, এটা ঠিক হচ্ছে না। হয়তো অফ ফর্মে ছিল, কিন্তু টেস্টেও তো একই অবস্থা ছিল, আবার নিজেই ওভারকাম
করেছে। টি-টোয়েন্টিতেও করবে। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়ই মুশফিকের বাবার কাছে আসেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ছেলের ওমন ইনিংসের জন অভিবাদন জানান গর্বিত বাবা’কে।