করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার। করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট মোকাবেলায় আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আসতে চলেছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ‘দেশে করোনা ফের বাড়তে শুরু করেছে। আমরা এটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই।’
কি কি বিধিনিষেধ আসতে চলেছে…
জানা গেছে, নতুন বিষিনিষেধে পুলিশি পাহারায় কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হবে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আমাদের ল্যান্ড পোর্ট, এয়ার পোর্ট, সি পোর্টগুলোতে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়ানো এবং আরও মজবুত
করা। যেটা আমরা অলরেডি করছি, ওখানে এন্টিজেন টেস্ট করছি, পিসিআর টেস্টও করছি। কোয়ারেন্টিনে আরও বেশি তাগিদ দেওয়া হয়েছে, যাতে কেউ সংক্রমিত থাকলে যথাযথভাবে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থায়
রাখা হোক। পুলিশ প্রহরায় যাতে কোয়ারেন্টিন থেকে বেরিয়ে না যায়। ঢিলেঢালা কোয়ারেন্টিন আমরা চাচ্ছি না।এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও আসছে বিধিনিষেধ। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের যত অনুষ্ঠান
আছে- সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে যাতে সংখ্যা সীমিত করা যায়, সে বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়েছে এবং নীতিগতভাবেই কিছুটা পজিটিভ আলোচনা হয়েছে যে, এটা করা হবে।ফের গণপরিবহনে
জন্য আসতে পারে অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে চলাচলের সিদ্ধান্ত। মাস্ক পরিধানে বাধ্য করা হবে সকলকে। এ বিষয়েও কঠোর পদক্ষেপ নিবে সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো ক্ষেত্রেই দোকান-পাটে যেই যাবে, তাকে
মাস্ক পরে যেতে হবে। বাসে উঠলে মাস্ক পরতে হবে, ট্রেনে উঠলে মাস্ক পরতে হবে, মসজিদে গেলে মাস্ক পরতে হবে। অর্থাৎ সব জায়গায় মাস্ক পরতেই হবে। না পরলে তাকে জরিমানা করা হবে মোবাইল কোর্টের
মাধ্যমে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এছাড়া রেস্টুরেন্টে জনসমাগমের বিষয়টি মাথায় রেখে আসতে পারে নতুন বিষিনিষেধ। করোনার টিকার সার্টিফিকেট ছাড়া রেস্টেুরেন্টে কেউ খেতে যেতে পারবেন না।
কোনো রেস্টুরেন্ট যদি এসব নির্দেশনা পালন না করে তাহলে সেই রেস্টুরেন্টকে জরিমানা গুনতে হবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনই বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে কিছু ক্ষেত্রে কড়াকড়ি নির্দেশ আসতে
পারে। সকল শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকা গ্রহণ করতে হবে।বেশ কিছু বিধিনিষেধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসলেও এখনও লকডাউন দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। জাহিদ মালেক বলেন,
লকডাউনের সুপারিশ আমরা এখনো করিনি এবং লকডাউনের পরিস্থিতি এখনো হয়নি। লকডাউনের ওই পর্যায়ে না যেতে হয় সেজন্যই তো আজকের এই প্রস্তুতি সভা। যা যা পদক্ষেপ নেবার সেগুলো নিই, তারপর
দেখা যাক কী দাঁড়ায়। তিনি আরও বলেন, আমরা এই মুহূর্তে লকডাউনের কথা ভাবছি না। এখন আমরা জোর দেব প্রতিরোধের বিষয়ে। যে সমস্ত কার্যকলা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন ওমিক্রন বা করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য, সেগুলোর উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে।