বিজয়ের বাংলা:
শান্তির ধর্ম ইসলাম ইসলাম শব্দের মূল ধাতু হচ্ছে ‘সিলম’, যার অর্থ শান্তি। অতএব ইসলাম-এর পারিভাষিক অর্থ হবে নবী (ছাঃ)-এর ত্বরী’ক্বা মোতাবেক আল্লাহর বি’ধান পালন করতঃ জীবন গঠন করে শান্তি লাভ করা। পৃথিবীতে অনেক ধর্ম
বিদ্যমান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ইসলামই হ’ল সঠিক ও সত্য ধর্ম। বাকী সব বাতিল। পৃথিবীতে যত নবী এসেছেন সকলেই ইসলামের ওপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে শয়তানের প্ররোচনায় বিভিন্ন ধর্ম এবং মতের আবির্ভাব ঘটে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, وَمَن يَّبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلاَمِ
دِيْنًا فَلَن يُّقْبَلَ مِنْهُ- ‘যে কেউ ইসলাম ছাড়া অন্য দ্বীনের অন্বেষণ করবে তার পক্ষ থেকে তা কখনও গ্রহণ করা হবে না’ (আলে ইমরান ৩/৮৫)। অতএব ই’সলাম ছাড়া যত দ্বীন আছে সবই বাতিল। আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, وَالَّذِىْ نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لاَ يَسْمَعُ بِىْ أَحَدٌ مِنْ هَذِهِ
الْأُمَّةِ يَهُوْدِىٌّ وَلاَ نَصْرَانِىٌّ ثُمَّ يَمُوْتُ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِالذِّىْ أُرْسِلْتُ بِهِ إِلاَّ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ. ‘যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ রয়েছে তার শপথ, যদি এ উম্মতের মধ্য হ’তে কোন ইহুদী ও খৃষ্টান আমার কথা শুনে কিন্তু আমাকে যা কিছু দিয়ে পাঠানো হয়েছে তার উপর ঈমান না এনে মারা যায়, তাহ’লে সে জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হবে’।১ সম্প্রতি ইসলাম বিদ্বেষীরা ইসলাম সম্পর্কে
বিভিন্ন রকমের অপপ্রচার চালাচ্ছে। সে কারণে সরাসরি কুরআন এবং সুন্নাহ থেকে ইসলামের সততা ও স্বচ্ছতা সম্পর্কে সংক্ষিপ্তাকারে আলোচ্য নিবন্ধে আলোচনা পেশ করা হ’ল: কুরআন সৎপথ প্রদর্শনকারী। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, إِنَّ هَـذَا الْقُرْآنَ يَهْدِيْ لِلَّتِيْ هِيَ أَقْوَمُ وَيُبَشِّرُ الْمُؤْمِنِيْنَ الَّذِيْنَ
يَعْمَلُوْنَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْراً كَبِيْراً- وأَنَّ الَّذِيْنَ لاَ يُؤْمِنُوْنَ بِالْآخِرَةِ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَاباً أَلِيْماً- ‘নিশ্চয়ই এ কুরআন হিদায়াত করে সেই পথের দিকে, যা সুদৃঢ় এবং সৎ কর্মপরায়ণ মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জ”ন্য রয়েছে মহাপুরস্কার। আর যারা আখেরাতের উপর ঈমান রাখে না, আমরা তাদের জন্য বেদনাদায়ক শাস্তি তৈরী করে রেখেছি’ (বনী ইসরাঈল ১৭/৯-১০)। ইসলাম
মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন, গরীব-মিসকীন তথা সকল মানবের সাথে সদ্ব্যবহারের নির্দেশ প্রদান করেছে। আল্লাহ তা‘আ’লা বলেন, وَاعْبُدُواْ اللّهَ وَلاَ تُشْرِكُواْ بِهِ شَيْئاً وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَاناً وَبِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِيْنِ وَالْجَارِ ذِي الْقُرْبَى وَالْجَارِ الْجُنُبِ وَالصَّاحِبِ بِالْجَنبِ وَابْنِ السَّبِيْلِ وَمَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ إِنَّ اللّهَ لاَ يُحِبُّ مَن كَانَ مُخْتَالاً فَخُوْراً- ‘তোমরা ইবাদত কর আল্লাহর আর তার সাথে কাউকে
শরীক করো না, পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, মিসকীন, নিকটাত্মীয় প্রতিবেশী, অনাত্মীয় প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী সহচর পথিক এবং তোমাদের ডান হাত যাদের অধিকারী তাদের সাথে সদ্ব্যবহার কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ অহংকারী এবং আত্মাভিমানীকে ভালবাসেন না’ (নিসা ৪/৩৬)। উক্ত আয়াতে নিয়মতান্ত্রিক মুসলিম-অমুসলিম
সবার সাথে সদ্ব্যহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইসলাম যে ন্যায়-নিষ্ঠার ধর্ম তা-ই এ আয়াতে বিবৃত হয়েছে। অতএব ইসলাম যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় এবং অশান্তি প্রতিষ্ঠা চায় না এই আয়াত দ্বারা তা দিবালোকের ন্যায় প্রমাণিত হচ্ছে। ইসলাম অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করতে এবং কারো সম্পদ আত্মসাৎ করতে নিষেধ করেছে। আল্লাহ
তা‘আলা বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُوْنَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِّنْكُمْ وَلاَ تَقْتُلُواْ أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيْماً- وَمَن يَّفْعَلْ ذَلِكَ عُدْوَاناً وَظُلْماً فَسَوْفَ نُصْلِيْهِ نَاراً وَكَانَ ذَلِكَ عَلَى اللّهِ يَسِيْراً- ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা অন্যায়ভাবে পরস্পরে একজন আরেকজনের ধন-সম্পদ ভক্ষণ করো না, তবে পারস্পরিক সম্মতিতে ব্যবসা বা”ণিজ্যের মাধ্যমে (যা উপার্জিত হয় তা ভক্ষণ করো)। আর তোমরা একে
অপরকে হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি অতি দয়াশীল। আর যে কেউ সীমালঙ্ঘন এবং নির্যাতন করে এই রকম করবে আমি তাকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করব। এটা আল্লাহর জন্য খুবই সহজ’ (নিসা ৪/২৯-৩০)।
ইসলাম লোকজনকে নিয়ে ঠাট্ট-বিদ্রূপ করতে নিষেধ করেছে। আ’ল্লাহ তা‘আলা বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا لاَ يَسْخَرْ قَومٌ مِّن قَوْمٍ عَسَى أَن يَّكُوْنُوْا خَيْراً مِّنْهُمْ وَلاَ نِسَاءٌ مِّن نِّسَاءٍ عَسَى أَن يَكُنَّ خَ