বিজয়ের বাংলা:
ইসরায়েলে পৃথিবীর প্রাচীনতম মসজিদ আবিষ্কার হলো।ইসরায়েলের গ্যালিলি সাগরের তীরবর্তী তাইবেরিয়া শহরে পৃথিবীর প্রাচীনতম একটি মসজিদ আবিষ্কার করেছে দেশটির প্রত্ন’তত্ত্ববিদরা। তাইবেরিয়ার শহরে বাইজেন্টাইন আ’মল থেকে চিহ্নিত একটি দালানের ভগ্নাদেশের নিচে মসজিদের
ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। মনে করা হয়, সপ্তম শতাব্দীতে রাসুল (সা.)-এর সাহাবি মুসলিম বা’হিনীর সেনাপতির হাতে স্থাপনাটি নির্মিত হয়।সম্প্রতি জেরুজালেম হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয় ও বেন জেডভি ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে তাইবেরিয়া নগর প্রতিষ্ঠার দুই হাজার বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি
অ্যাকাডেমিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তাইবেরিয়া শহরে অষ্টম শ’তাব্দীর প্রাচীন মসজিদের ধ্বংসাবশেষ পা’ওয়ার তথ্য জানানো হয়। জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা কাটিয়া সাইট্রেন সিলভার ম্যানের নেতৃত্বে
দীর্ঘ ১১ বছর যাবত গবেষণা পরিচালিত হয়।সিলভার ম্যান বলেন, বর্তমান ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত তাইবেরিয়া শহর ইসলামের বি’জয় যুগে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক এখন বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল। সব দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলে মসজিদটি
নির্মাণ করা হয়েছিল। আরও পড়ুন : মধ্যপ্রাচ্যে ‘অগ্নিপরীক্ষায়’ বাইডেন তাইবেরিয়ার মসজিদের নিম্নাংশের পুরোটা অবলুপ্ত ছিল।২০০৪ সালে প্রত্নতত্ত্ববিদ ইজহার হি’রসফিল্ড তা খনন করে। কয়েক বছর তা নিয়ে গবেষণা চলে।পরবর্তীকালে ওই স্থানে অবকাঠামো পা’ওয়া যায়। তখন এটিকে বাইজেন্টাইন সময়ের বাজার বলে
মনে করা হয়েছিল। এরপর সেখানে আরও খনন করে এতে প্রাচীন মৃৎশিল্প এবং মুদ্রা পাওয়া যায় যা ইসলামের প্রাথমিক যুগের বলে মনে করা হয়। অবকাঠামোর ভিত্তিমূল দেখে প্রত্নতত্ত্ববিদরা এটিকে কোনো ইসলামি স্থাপত্য বলে মনে করেন।ইতিহাসবিদরা আগ
থেকেই একটি প্রাচীন মসজিদের অবস্থান সম্পর্কে জানতেন। কিন্তু স্থাপনাটি ভূগর্ভস্থ থাকায় প্রত্নতত্ত্ববিদরা এই সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত ছিলেন না। যেমন বিভিন্ন প্রাচীন মসজিদের মতো বাগদাদের প্রাচীন নগরী ওয়াসিতে ৭০৩ খ্রিস্টাব্দের একটি প্রাচীন
মসজিদ এখনো অনাবিষ্কৃতি আছে।ইসরায়েলের প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা, তাইবেরিয়ার মসজিদটি ইসলামি যুগে শাম অঞ্চলের বিজেতা সে’নাপতি শুরাহবিল বিন হাসানা (রা.) এর তত্ত্বাবধানে তা নির্মাণ করা হয়। আরও পড়ুন : তুর্কি জাহাজে
জলদস্যুদের হামলায় নাবিক নি’হত, অপহৃত ১৫ জেরুজালেমের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন স্থাপনা বিশেষজ্ঞ কাটিয়া সাইট্রেন সিলভার ম্যান বলেন, আমরা সুনিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না যে তা শুরাহবিল স্থাপন
করেছিলেন। তবে নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক সূত্রে জানা যায়, ৬৩৫ হিজরিতে তিনি তাইবেরিয়ায় একটি ম’সজিদ নির্মাণ করেছিলেন। সূত্র : দৈনিক হারেতজ