অনাস্থা ভোটে গত ৯ এপ্রিল ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশটির বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের পর থেকে তিনি বলে আসছিলেন তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্র ষড়যন্ত্র করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সেই সাংকেতিক চিঠিটিকে ভুয়া বলে
জানিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘চিঠিটি যদি সত্যি হয়, তাহলে আমি এসে ইমরান খানের দলের সঙ্গে যোগ দেব’। শাহবাজের এমন বক্তব্যের পর শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমরান
খান বলেন, আল্লাহর ওয়াস্তে আমার কাছে আসবেন না। এই রকম একজন চোরকে (শাহবাজ শরিফ) আমার সঙ্গে নিতে পারি না। চিঠিটিকে ভুয়া বলার জন্য অবশ্যই শাহবাজ শরিফকে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এদিকে, ইমরান
খানের সরকারকে উৎখাতে কোনো বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল না। এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)। শুক্রবার নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয় সমন্বয়ে দেশটির সর্বোচ্চ ফোরামের বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে এই কথা জানানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যম ডন
এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাস থেকে পাওয়া টেলিগ্রামের বিষয়ে আলোচনা করেছে এনএসসি। প্রধান নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে এনএসসি সেখানে কোনো ধরনের বিদেশি ষড়যন্ত্রের তথ্যপ্রমাণ পায়নি। নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এনএসসির এই বৈঠকে সভাপতিত্ব
করেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদ, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল নাদিম রাজা, সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া,
নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মুহাম্মদ আমজাদ খান নিয়াজি, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমাদ বাবরসহ জ্যেষ্ঠ বেসামরিক এবং সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস