পৃথিবীতে অন্য কোন ধর্ম গ্রন্থ কেউ মুখস্ত করতে সক্ষম হয়নি এবং হবে না। কিন্তু অসংখ্য মানুষ রয়েছে যাদের অন্তরে পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন বিদ্যমান রয়েছে। অন্তরে বিদ্যমান রত হাফেজের জন্য আল্লাহ
জান্নাতে বিশেষ স্থান নির্ধারন করে রেখে দিয়েছেন।মুহাম্মদ জিবরিল বিন নেছারী। সাত বছর বয়সে মাত্র নয় মাসে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। হেফজ শেষে দেশবরেণ্য
হাফেজরা পরীক্ষা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তার মাথায় সম্মানসূচক পাগড়ি পড়িয়ে দিয়েছেন।শিশু হাফেজ মুহাম্মাদ জিবরিল বিন নেছারী রাজধানী যাত্রাবাড়ির মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র।
তার বাবা শায়খ নেছার আহমাদ আন নাছিরী এই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক।মুহাম্মদ জিবরিল বিন নেছারীর হিফজ সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে উপস্থিত থেকে শেষ সবক শুনেছেন- হাফেজ
কারী মাওলানা বজলুল হক, হাফেজ কারী মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান, হাফেজ কারী মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভি, হাফেজ কারী মাওলানা আবু ইউসুফ, হাফেজ কারী মাওলানা এ কে এম ফিরোজ, হাফেজ কারী
মাওলানা এহসানুল হক জিলানি ও হাফেজ কারী মাওলানা মহিউদ্দীন কাসেমসহ দেশবরেণ্য অন্য আলেমরা।হাফেজ জিবরিলের মাথায় সম্মানসূচক পাগড়ি পড়িয়ে দিচ্ছেন অতিথিরাশায়খ নেছারীর অন্য বড়
ছেলে জায়েদ বিন নেছারী ও মেজো ছেলে জাবের বিন নেছারীও পবিত্র কোরআনের হাফেজ। তন্মধ্যে ছোট ছেলে মুহাম্মদ জিবরিল বিন নেছারী সবচেয়ে কম বয়সে এবং সময়ে কোরআনে কারিমের হাফেজ হওয়ার
গৌরব অর্জন করল।ছেলের হেফজ প্রসঙ্গে শায়খ নেছারী বলেন, ‘আমি মনে করি অন্য বাবা-মাদের স্বপ্নপূরণ করার কারনে আল্লাহতায়ালা আমার স্বপ্নপূরণ করে আমার তিন ছেলেকে কোরআনের হাফেজ
বানিয়েছেন। এটা আল্লাহর বিশেষ রহমত। আমি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার্থীদের নিজ সন্তানের মতো দেখাশোনা করি, শিক্ষার ব্যবস্থা নেই। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে একাধিকবার
তুলে ধরেছে। মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনালের ছাত্র বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সাফল্য পেয়েছে। সেসব শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও দেশবাসীর দোয়ায় আমার তিন সন্তান আজ কোরআনের হাফেজ। আমি তাদের জন্য দোয়া চাই, যেন তারা সত্যিকারের মানুষ হতে পারে।’