বিজয়ের বাংলা: যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই রাত হয়’- এ বহুল প্রচলিত প্রবাদের মতোই ‘বাঘ’ ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে তালেবান। তালেবান যতই আগের অবস্থানে ফিরে যাবে না বলে ‘ছেলে ভুলানো গল্প’ বলুক, ধারণা করা হয়েছিল ১৯৯৬-২০০১ শাসনামলের তুলনায় আরও ভয়াবহ মূর্তিতে আবির্ভূত হচ্ছে তারা।
সেই ইঙ্গিতের সমর্থনেই এবার তারা নারীশিক্ষা নিষিদ্ধ করতে চলেছে। শনিবার আফগানিস্তানে মাধ্যমিক স্কুলগুলো খুলে দেওয়ার আগে শুক্রবারের নির্দেশনায় ছেলে ও শিক্ষকদের স্কুলে যাওয়ার আদেশ দিলেও মেয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষিকাদের জন্য কোনো নির্দেশনা দেয়নি তালেবান। দ্য গার্ডিয়ান।
আফগানিস্তানের মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খুলেছে শনিবার। দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দীর্ঘ এক মাস পর ৩৪টি প্রদেশের কয়েকটি মাধ্যমিক স্কুল, মাদ্রাসা ও সেমিনারি স্কুল খুলেছে। তবে ছেলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরতে পারলেও মাধ্যমিক স্তরের মেয়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষিকাদের স্কুলে যেতে দেখা যায়নি।
শুক্রবার তালেবান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় জানিয়েছিল, সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম চালু হচ্ছে। পুরুষ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তবে নারী শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা ফিরতে পারবেন কিনা, এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তালেবান সরকারের এই আদেশে বহু শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আদৌ আর কখনো কোনো মেয়ে শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে ফিরতে পারবে কি-না এ বিষয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তারা বলেছেন, এবারের তালেবান আগের শাসনামলের মতো হবে না। ওই সময় নারীশিক্ষা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এবার তালেবান ক্ষমতায় এসেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, মেয়েদেরকে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হবে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দিলেও ক্লাসে ছেলে-মেয়েদের আলাদা বসার আদেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।