বিজয়ের বাংলা:
অল্প বয়সে চুল পাকলে যা যা করবেন।
অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা এখন অনেকেরই। সেক্ষেত্রে বাজার চলতি হেয়ার কালার ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তই দেন অনেকে। আসলে ক্ষ’তিকারক রাসায়নিক
থেকে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি কিন্তু থেকেই যায়। তবে পাকা চুল নিয়ে দু:খ না করে এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে কাজে লাগান। জেনে নিন কিছু প্রতিকার…এক. আমলকি-এই প্রা’কৃতিক খাদ্য উপাদানটি
পাউডার তেল দুভাবেই ব্যবহার করা যায়। আমলা তেল চুলের কালো রঙ ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং পাউডার চুলকে খুশকি মুক্ত রাখতে ব্যবহার করা যায়। দুই. পেয়াজ বাটা চুলের অকালে পেকে যাওয়া
ঠেকাতে অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। পেঁয়াজ বেটে প্রতিদিন চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। অল্প ক’দিনের মধ্যেই পাকা চু’লের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। তিন. আমলকির গুঁড়োর সঙ্গে
পাতিলেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট চুলের গোড়ায় মালিশ করুন। তারপর ভাল ভাবে ধুয়ে ফেলুন। পাকা চুলের সমস্যায় দ্রুত উপকার পাবেন। চার. বাদাম চুলের জন্য খুবই উপকারী। সুন্দর চুল ধরে রাখতে বাদাম খা’ওয়ার পাশাপাশি বাদামের
তেল চুলে লাগালে চুল স্বাস্থ্যজ্জ্বল হয়ে উঠে। পাঁচ. পাকা চুলের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হলে প্রতিদিন নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় মাখুন। সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যেই পাকা চুলের সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। ছয়. ছোলা
বি১২ এবং ফোলিক এসিডে ভরপুর। তাই সকালে খালি পেটে ছোলা খাওয়া স্বাস্থ্য ঠিক রাখার পাশাপাশি চুল কালো করার
জন্যে যথেষ্ট উপাদেয়। সাত. চুলের সুরক্ষায় হেনার ব্যবহার অনেক পুরনো। চু’ল ধূসর হয়ে যাওয়া ঠেকাতে সরিষা তেলের সঙ্গে হেনা পাতার মিশ্রণ অনেক উপকারি।