ছাগল চুরি করে ভূরিভোজন করার অভিযোগে পিরোজপুরে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালের ৪ কর্মচারীসহ অজ্ঞাত ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ছাগলের মালিক আব্দুল লায়েক ফরাজী নামে এক চা-বিক্রেতা। তিনি গত বুধবার (১ ডিসেম্বর)
বাদী হয়ে পিরোজপুর জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।এ মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- ওই হাসপাতালের কর্মচারী মো. শাহিন খান (৩২), মো. চমন খান (২৫), মো. পলাশ খান (৩৩) ও মো. বাশার শেখসহ (৪৫) অজ্ঞাত ১০-১২
জন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ নভেম্বর তার ছাগলটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতর গেলে অভিযুক্তরা তা জবাই করেন। পরে তা রান্না করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মিলে ভূরিভোজ করেন।মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ নভেম্বর আব্দুল লায়েক
ফরাজীর একটি ছাগল নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতর গেলে কর্মচারীরা তা জবাই করে হাসপাতালের মধ্যেই রান্না করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা মিলে ভূরিভোজ করেন। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, এ বিষয়ে থানায় মামলার জন্য আবেদন করলেও থানা তা এজাহারভুক্ত না করে মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করে।
ছাগলের মালিক লায়েক ফরাজী গণমাধ্যমকে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতর থেকে তার চুরি হয়ে যাওয়া ছাগলটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নতা কর্মী শেখ বাশারসহ ৪ জন আটক করে জবাই করে। পরে স্থানীয় ঋষির (চামড়া ক্রেতা) কাছ থেকে তার চামড়া উদ্ধার করা হয়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ওই ছাগলটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভূরিভোজ করেছেন বলে তাকে তথ্য দেন।এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, আমরা আদালত থেকে এ ব্যাপারে কোনো কাগজপত্র
পাইনি। ছাগলের মালিক একাধিক জায়গায় অভিযোগ করেছেন। পরে আমি তাকে থানায় ডেকেছিলাম। তিনি যখন থানায় অভিযোগ দিয়েছেন, তখন আমি ছিলাম না। তিনি আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলে সমাধানের জন্য বলেছিলেন। তবে আমাকে কোনো মামলা করবেন বলে জানাননি।