কুমিল্লার মুরাদনগরে এক সময়ের প্রভাবশালী বিএনপি কর্মী পেয়েছেন নৌকার মনোনয়ন। নাজমুল হক নাজিম নামে ওই বিএনপি কর্মী উপজেলার রামচন্দ্রপুর (উত্তর) ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ
থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।শনিবার (১ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন বোর্ড ঘোষিত তালিকায় নাজমুল হকের নাম রয়েছে। এ নিয়ে ওই এলাকায় আওয়ামী লীগের ত্যাগী এবং তৃণমূল নেতা-
কর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।স্থানীয়রা জানায়, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এবং গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ এবং বিএনপি দলীয় সাবেক মন্ত্রী
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন নাজমুল হক নাজিম ও তার পরিবারের লোকজন। তবে ক্ষমতার পালাবদলে স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ
নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই বিএনপি কর্মী। কিন্তু আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কোনো তথ্য-প্রমাণ খুঁজে পাওয়া না গেলেও তদবিরের মাধ্যমে তিনি নৌকার মনোনয়ন
বাগিয়ে নেন। এদিকে তৃণমূলের ত্যাগী আওয়ামী লীগ কর্মীরা মনোনয়ন না পাওয়ায় ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভ এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে।রামচন্দ্রপুর
উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম বলেন, নৌকার মনোনয়ন পাওয়া নাজমুল হক নাজিম বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী। নাজিম কখনো আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না।
সে গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ এবং বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। তাকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়ায় আমাদের
হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। অবিলম্বে তার মনোনয়ন বাতিল করে ত্যাগী কোনো কর্মীকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়ার দাবি করছি।এ বিষয়ে অভিযুক্ত নাজমুল হক নাজিম বলেন, আমি কখনোই বিএনপির রাজনীতির
সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম না। নৌকার মনোনয়ন পাওয়ার কারণে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে। আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান এবং আমার ভাই আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা।