সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে একটি করে মনিটরিং ও মূল্যায়ন অনুবিভাগ (উইং) চালু করা হবে। অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা বন্ধে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গোপনে অভিযোগ গ্রহণ ও অনুসন্ধান করবে এ ইউং।
একইসঙ্গে বিধিবিধান মেনে যথাযথভাবে কাজ হচ্ছে কিনা-তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে প্রতি ৩ মাস অন্তর এবং বছরে একবার সচিবের কাছে জমা দিতে হবে। যুগ্ম সচিব অথবা উপসচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ অনুবিভাগের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে সচিবালয় নির্দেশমালা ২০১৪ এর হালনাগাদ খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও গবেষণা কোষের বৈঠকে প্রণয়ন করা হয় খসড়াটি। এটি অনুমোদনের জন্য শিগগিরই প্রশাসন উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাঠানো হবে।
এবিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সচিবালয় নির্দেশমালা হালনাগাদকরণের কাজ চলছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, খসড়ায় কর্মচারীদের বিষয়ে কিছু সুবিধা রাখা হয়েছে। করোনা মহামারিতে সারা বিশ্ব থমকে দাঁড়িয়েছিল। এ কারণে অনেক কাজ দপ্তরে আবার অনেক কাজ বাসায় বসে করতে হয়েছে। বাসায় কাজের সুবিধা কর্মকর্তাদের জন্য থাকলেও কর্মচারী অর্থাৎ স্টেনোটাইপিস্ট, অফিস সহকারী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং ব্যক্তিগত
কর্মকর্তাদের নেই। এমন পরিস্থিতিতে তারাও যেন বাসায় বসে দাপ্তরিক কাজ করতে পারেন সেজন্য তাদের ল্যাপটপসহ যাবতীয় সুবিধা প্রদানের বিষয়টি সচিবালয় নির্দেশমালায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া মহামারি বা অতিমারির সময়ে দাপ্তরিক কার্যাবলি নিষ্পত্তির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকবে নির্দেশমালায়।
এছাড়া দাপ্তরিক কাজে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও অফিস সহায়কদের ছুটি প্রদানে প্রশাসনিক কর্মকর্তার সুপারিশ নেওয়া হবে। শুধু তাই নয় অফিস সহায়কদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনের (এসিআর) আওতায় আনা হচ্ছে। সে লক্ষে নতুন এসিআর ফরম তৈরি করে তা নির্দেশমালায় সংযোজন করা হবে। বর্তমানে অনুসৃত নির্দেশমালায় এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই।