নিজের স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে রেখে নিজ স্কুলের দশম শ্রেণির একটি ছাত্রীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বি’রুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়াতেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম হাসমত হোসেন। তিনি পাবনার বেড়া উপজেলার নতুনভারেঙ্গা
ইউনিয়নের বাটিয়াখড়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। হাসমত ঐতিহ্যবাহী ভারেঙ্গা একাডেমির সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারেঙ্গা একাডেমির সহকারী শিক্ষক হাসমত হোসেনের কাছে নিজ বাড়িতে প্রাইভেট পড়তো একই
প্রতিষ্ঠানের ১০ম শ্রেণির ওই ছাত্রী। প্রা’ইভেট পড়ানোর সুযোগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোমবার (৯ মে) ওই ছাত্রী যথারীতি স্কুলে যায়। তবে স্কুল ছুটির পর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। তার অভিভাবকরা দুদিন ধরে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে ওই ছাত্রীর
সহপাঠীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিভাবকরা গৃহশিক্ষক হাসমত হোসেনের কাছে ফোন করেন। তিনি ওই কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন এবং তাকে বিয়ে করেছেন বলে জানান। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা
করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। ভারেঙ্গা একাডেমির প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান বলেন, ‘প্রায় এক যুগ ধরে হাসমত এই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। আগে কখনো এমন আচরণ তার মধ্যে লক্ষ্য করিনি। তিনি
এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করেছেন যে, আমরাও সামাজিকভাবে লজ্জার মধ্যে পড়েছি।’ এ ব্যাপারে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, আমাদের কাছেও অভিযোগ এসেছে। ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।