এমপি হয়ে জাতীয় সংসদে যেন যেতে না পারি সেজন্য বারবার মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আলোচিত অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। রোববার (৮ জানুয়ারি) মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, আমি সোমবার (৯ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন অফিসে যাব। কাগজ জমা দেব। আপিল করবো। এতে যদি প্রার্থিতা ফিরে না পাই তাহলে হাইকোর্টে রিট করবো।
তিনি আরও বলেন, আমি ছাড়াও আরও ১১ জনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। আমাদের নাকি ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে, এই জন্য প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে।
কেন বারবার তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয় এমন প্রশ্নে আলোচিত এই অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর সোনালীনিউজকে বলেন, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আমার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। আসলে কেন বারবার আমার প্রার্থীতা বাতিল করা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। দুই আসন থেকে আমার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়েছে। তবে আমার মনে হচ্ছে এরা চাচ্ছে না সংসদ সদস্য হিসেবে হিরো আলম সংসদে আসুক। নির্বাচন করুক। আমাকে অনেকে হয়তো মেনে নিতে চাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, হিরো আলম কখনও হতাশ হয় না। এলাকার মানুষ আমাকে নির্বাচনে দাঁড়াতে উৎসাহ দিয়েছে। তারা কথা দিয়েছে, এবার আমাকে ভোট দেবে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেও জানান তিনি।
এর আগে রোববার (৮ জানুয়ারি) যাচাই-বাছাইয়ে বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিতে দাখিল করা হলফনামায় গড়মিল পাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এই দুই আসনের মধ্যে বগুড়া-৬ আসনে ১৩ জন এবং বগুড়া-৪ আসনে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলমের ১ শতাংশ ভোটার তালিকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েকজন ভোটারের সমর্থন না পাওয়ায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন হিরো আলম। কিন্তু ১০ জনের স্বাক্ষরে গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন তিনি। আপিলেও তার প্রার্থিতা না টিকলে উচ্চ আদালতে যান। পরবর্তীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হিরো আলমকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ প্রতীক পেয়েছিলেন হিরো আলম।
জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করা বিএনপির ছয় সংসদ সদস্যের শূন্যঘোষিত আসনে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসীল অনুযায়ী, শূন্য আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৫ জানুয়ারি। যাচাই-বাছাই ৮ জানুয়ারি এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৫ জানুয়ারি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সবকটি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।